পাটালিগুড়

গোলপাটালি
রেগুলার ৩৫০৳ কেজি
অফার ৩৪০৳

350.00৳  340.00৳  2.9% OFF

Description

রাজশাহীর খাঁটি খেজুরের গুড় এখন ফেনীতে!

রাজশাহীর খেজুরের গুড়; ঐতিহ্য ও স্বাদের অনন্য মিশেল।
বাংলাদেশের মিষ্টি পণ্যের ইতিহাসে খেজুরের গুড়ের রয়েছে এক সমৃদ্ধ নিবেদন। বিশেষত রাজশাহীর খেজুরের গুড় এর অনন্য স্বাদ, ঘ্রাণ এবং গুণগত মানের জন্য দেশজুড়ে সুপরিচিত। শীতকালের সকালগুলো যেন এই গুড়ের মিষ্টতা ছাড়া অসম্পূর্ণ। রাজশাহীর মাটি, আবহাওয়া এবং শত বছরের চর্চিত প্রক্রিয়া এই গুড়কে অন্য সব অঞ্চলের চেয়ে আলাদা করেছে।
তবে শুধু গুড় হলেই হবে না। এটি কিভাবে তৈরী হয়, কার দ্বারা তৈরী হয় এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভেজালের ভীড়ে খাঁটি পণ্যের নিশ্চয়তায় ই-ফাতাহ বদ্ধ পরিকর।
✅ ই-ফাতাহ’র খেজুরের গুড় তৈরী:
➠ খেজুরের গুড় কীভাবে তৈরি হয়?
শীতকালের ভোরে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। অভিজ্ঞ গাছিরা গাছের কাণ্ড চেঁছে নির্দিষ্ট কৌশলে মাটির কলস ঝুলিয়ে রাখেন। ভোরবেলায় মিষ্টি রসে ভরা কলস নামিয়ে আনা হয়। এরপর সেই রস থেকে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় আগুনে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয় গুড়।
➠গুড় তৈরির প্রক্রিয়ার ধাপগুলো:
১. রস সংগ্রহ: খেজুর গাছ থেকে ভোরে মিষ্টি রস সংগ্রহ করা হয়।
২. রস ছাঁকা: ময়লা বা অপ্রয়োজনীয় উপাদান সরাতে রস ছেঁকে নেওয়া হয়।
3. রস জ্বাল দেওয়া: বড় কড়াইয়ে রস জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়।
4. গুড় তৈরি: রস ঘন হয়ে গেলে সেটি পাত্রে ঢেলে জমিয়ে খেজুরের গুড় তৈরি করা হয়।

➠ রাজশাহীর খেজুরের গুড়ের বৈশিষ্ট্য
১. স্বাদে অতুলনীয়: রাজশাহীর মাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য রসে প্রভাব ফেলে, যা এই অঞ্চলের গুড়কে অন্য সব অঞ্চলের চেয়ে স্বাদে আলাদা করে।
২. নির্ভেজাল: রাজশাহীর খেজুরের গুড় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি, কোনো কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।
৩. ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়া: এই গুড় তৈরি করতে স্থানীয় মানুষ শতবর্ষ ধরে একই পদ্ধতি অনুসরণ করছে।

➠ খেজুরের গুড়ের উপকারিতা
১. প্রাকৃতিক মিষ্টি: এতে কোনো কৃত্রিম মিষ্টি বা প্রিজারভেটিভ নেই।
২. উচ্চ পুষ্টিগুণ: খেজুরের গুড়ে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
৩. শীতকালীন শক্তি: শীতের সকালে খেজুরের গুড় খেলে শরীর উষ্ণ থাকে এবং শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৪. হজমে সহায়ক: এটি অন্ত্রের কার্যক্রম উন্নত করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গুড়ে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

➠ রাজশাহীর গুড় কেন অনন্য?
রাজশাহীর বিশেষ মাটি ও আবহাওয়া খেজুরের রসের গুণগত মান উন্নত করে। এখানকার গাছিরা প্রাচীন প্রক্রিয়া ও নির্ভুল যত্নের মাধ্যমে গুড় তৈরি করেন। খেজুরের গুড়ের তৈরির এই নিখুঁত প্রক্রিয়া এবং স্বাদ সারা বাংলাদেশে এটি অনন্য করে তুলেছে।

➠ খেজুরের গুড়ের ব্যবহার-
১. মিষ্টি খাবারে: পায়েস, পিঠা, হালুয়া এবং অন্যান্য মিষ্টি খাবার তৈরিতে খেজুরের গুড় ব্যবহৃত হয়।
২. চায়ের মিষ্টি হিসেবে: গ্রামীণ অঞ্চলে গুড় দিয়ে চা বানানো একটি জনপ্রিয় প্রথা।
৩. ভাতের সঙ্গে: গরম ভাত এবং গুড়ের যুগলবন্দী গ্রামীণ বাংলার শীতকালের খাবার।

➠ গুণগতমান বজায় রাখা এবং সংগ্রহ-
রাজশাহীর খেজুরের গুড় বাজারে পরিচিতি পেয়েছে কারণ এটি সরাসরি প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয় না। এটি বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়।
যেমন:
➤পাটালি গুড়
➤নলেন গুড়
➤ঝোলা গুড়
➤চকোলেট গুড়
➠ ই-ফাতাহ থেকে কেন কিনবেন?
✅ আমাদের সরবরাহকৃত খেজুরের গুড় সম্পূর্ণ খাঁটি এবং নিজস্ব কর্মী দ্বারা সার্বক্ষণিক দেখভাল করা হয়। বেছে বেছে গ্রামের অভিজ্ঞ গাছীদের থেকে নিজে উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রিত হয়।
✅ গুড় প্রাকৃতিক জিনিস; আমরা কোন ধরনের ক্যামিকেল ব্যাবহার করিনা। আপনি গুড় কিনে যদি ভাল না লাগে তাহলে আমাদের ফেরত দিতে পারেন। প্রাকৃতিক পণ্য আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল।

 

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “পাটালিগুড়”

Your email address will not be published. Required fields are marked *